শীতে ত্বকের পরিচর্যা
এটি একটি জন্মগত রোগ এবং রোগটি শিশুকাল থেকেই লক্ষ্য করা যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি হাজারে অন্তত এ রোগে একজন ভুগে থাকে। নারী-পুরুষের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সমপরিমাণ। এ রোগে যারা আক্রান্ত হয় তাদের হাত ও পায়ের দিক লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, ত্বক ফাটা এবং ছোট ছোট গুঁড়িগুঁড়ি মরা চামড়া বা আঁশ পায়ের সামনের অংশের বা হাতের চামড়ায় লক্ষণীয়ভাবে ফুটে উঠতে দেখা যায়। তবে হাত ও পায়ের ভাঁজযুক্ত স্থান থাকবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। তাদের কাছে প্রশ্ন রাখলে তারাই বলবে যে, এ রোগটি তাদের দেহে ছোটবেলা থেকেই আছে। এদের ক্ষেত্রে শীতকাল এলেই প্রতি বছর এ ব্যাপকতা বেড়ে যায়। এদের হাতে বা পায়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে হাতের রেখাগুলো খুবই স্পষ্ট এবং মোটা যা কিনা সাধারণ লোকের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় নয়। এরই সঙ্গে তাদের থাকে এ্যালার্জিক সমস্যা। তাদের কাছে প্রশ্ন করলে তারাই বলবে যে, তাদের প্রায়শই নাক দিয়ে পানি পড়া অর্থাৎ সর্দি সর্দি ভাব থাকবে। তাদের পারিবারিক ইতিহাস খুঁজলে আরও পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে যে, তাদের পরিবারে এ্যালার্জিক সমস্যা ছিল বা এখনও আছে। এ রোগটি একবারে কখনই ভাল হয় না। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শীত এলেই বেশি বেশি করে তৈলাক্ত পদার্থ মাখলে ত্বক ভাল থাকে এবং ফাটা ভাব পরিস্ফুট হয় না। তবে যাদের ফাটা অবস্থা খুব বেশি তাদের ক্ষেত্রে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড মাখলে খুবই ভাল ফল পাওয়া যায়। আর এটি পেতে যদি অসুবিধা হয় তাহলে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ত্বকে মাখলে খুবই ভাল ফল পাওয়া যায়।
ডাঃ দিদারুল আহসান
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ
গ্রীন রোড, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৫৬১৬২০০
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২০; দৈনিক জনকণ্ঠ