সুস্থ কিডনির জন্য
১. স্বাস্থ্যবান থাকুন, সজীব জীবনযাপন করুন আপনি যত সজীব-সতেজ জীবনযাপন করবেন তত আপনার কিডনি রোগ কম হবে। সকালে হাঁটুন দৌড়ান বা সাইক্লিং করুন।
২. আপনার ব্লাড সুগার বিশ নিয়ন্ত্রিত রাখুন। ডায়াবেটিস রোগ কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যদি ডায়াবেটিস রোগ প্রথমেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে কিডনি রোগ প্রতিহত করা যায়।
৩. ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ব্লাড প্রেশার অনিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বেশি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করার অন্যতম কারণ। সবেচেয়ে ভাল হয় যদি প্রেশারকে ১২০/৮০ সস ঐম রাখা যায়। যদি ১৪০/৯০ সস ঐম ওঠে তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে বলতে ভুলবেন না।
৪. পুষ্টিকর খাদ্য খাবেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। লবণ কম খাবেন। লবণ খেতে পারবেন প্রতিদিন ৫-৬ গ্রাম। লবণ খাওয়া কমাতে হোটলের খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং কাঁচা লবণ একেবারেই খাবেন না।
৫. প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল খাদ্য খান। প্রতিদিন তরল খাদ্যের পরিমাণ হবে ১.৫ থেকে ২ লিটার। তা হলে শরীরের বর্জ্য নিষ্কাষিত হবে সহজে।
৬. ধূমপান করবেন না। ধূমপান করলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহের গতি কমে যায় ফলে তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। উপরন্তু ধূমপান কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় প্রায় ৫০%।
৭. ব্যথার ওষুধ প্রতিদিন দোকান থেকে কিনবেন এবং খাবেন। এ অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। ব্যথার ওষুধ কিডনিকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। যখন দীর্ঘস্থায়ী কোন ব্যথা-বেদনায় ভুগতে থাকেন তখন ব্যথার ওষধু কিভাবে পরিহার করে সুস্থ থাকা যায় ডাক্তারের কাছে তা বাতলে নিন।
ডা. এটিএম রফিক উজ্জ্বল
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯; দৈনিক জনকণ্ঠ