ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস হলো শ্বাসনালির মিউকাস আবরণীর প্রদাহজনিত রোগ। পুরুষদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি। দীর্ঘদিনের ধূমপায়ীরা বেশি আক্রান্ত হন। এ ছাড়া বায়ুদূষণ, ধুলাবালি ও পরিবেশজনিত সমস্যা থাকতে পারে এর পেছনে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে শোঁ শোঁ শব্দ, বছরে কয়েকবার সংক্রমণ হওয়া এই রোগের অন্যতম উপসর্গ। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস কখনো ভালো হয়ে যায় না। কেবল নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও উপসর্গগুলোকে কমানো যায়। ওষুধ ও ইনহেলারের পাশাপাশি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একজন রেসপিরেটরি থেরাপিস্ট রোগীর জটিলতা ও রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ব্যায়ামের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে পিই স্কেল ব্যবহৃত হয়। এই স্কেলে রোগীর এক্সকারশন বা শ্রমের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। যদি এক্সকারশন মাত্রা ২০–এর ওপর থাকে, তবে সর্বোচ্চ মাত্রার ব্যায়াম করানো যায়। আবার মাত্রা ৬ হলে হালকা বা মৃদু ব্যায়াম। চেস্ট ফিজিওথেরাপির সময় প্রথমে ওয়ার্ম আপ ও পরে কুল ডাউন করা জরুরি। নিজের মাত্রা বুঝতে হবে, মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম বা কাজ করা বিপজ্জনক। আরামদায়ক পরিবেশ ও উপযুক্ত পোশাকে ব্যায়াম করতে হবে। খারাপ লাগলেই ব্যায়াম বন্ধ করতে হবে। বাড়িতে নিজে করার উপযোগী একটি ব্যায়ামের উদাহরণ দেওয়া হলো। এই ব্যায়ামের নাম হলো পারসড লিপ ব্রেদিং এক্সারসাইজ। এটি ব্রঙ্কাইটিসের রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। ঘাড় ও কাঁধের পেশিগুলোকে নরম বা শিথিল করুন। ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন, কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। প্রথম দিকে তিন সেকেন্ড দিয়ে শুরু করুন, পরে সময় বাড়াবেন। এবার মুখটাকে গোল করে ফুঁ দেওয়ার মতো করে শ্বাস ছাড়তে থাকুন। এই ব্যায়ামে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ও অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে। যখনই শ্বাসকষ্ট বাড়ে, এটি করতে পারেন। উম্মে শায়লা রুমকী, ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি আপডেট: ১২ মে ২০১৯, ১৫:২৭; প্রথম আলো