মস্তিষ্কে আঘাত

বাংলাদেশে প্রতি বছরে শতকরা কতজন বা প্রতি লাখে কতজন ব্রেনে আঘাত লেগে হাসপাতালে ভর্তি হয়, তার কোন সুনির্দিষ্ট জরিপ নেই। সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রিটেনে প্রতিবছর প্রতি লাখে ৩০০ লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে প্রতি লাখে ৯ জন মারা যায়। Head Injury-এর প্রধান কারণ হলো- road traffic accident,, উপর থেকে পড়ে যাওয়া, assault, , খেলাধুলা, কাজ […]

Celebrating World Food Day 2020

World Food Day is celebrated around the globe on October 16. Food is one of our basic needs as a society. But while diet-related health problems are placing an increasing burden on already stretched health systems, the COVID-19 pandemic has also highlighted just how important access to safe nutritious food is. The George Institute’s food […]

New report on Australia’s health shows

A new report has highlighted the scale of health problems in Australia caused by poor diet and overweight. Obesity is strongly linked to a greater risk of death and disability from COVID-19 and these new data highlight how vulnerable the nation is to a second wave or to future pandemics. The Global Burden of Disease Study […]

Budget 2020-21: Sustained investment in medical

The George Institute for Global Health welcomes the sustained investment in medical research announced in the 2020-21 Budget announced on Tuesday evening. The $6.6 billion investment over the next four years includes funding the Medical Research Future Fund (MRFF), the National Health and Medical Research Council (NHMRC) and the Biomedical Translation Fund (BTF). Professor Bruce […]

হাড় ক্ষয় হলে কী করবেন

প্রতিবছর ২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস পালিত হয়। এবারে এ দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল হাড়কে ভালোবাসুন, আপনার ভবিষ্যৎ রক্ষা করুন।অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় বলতে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বোঝায়। এতে হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো হয়ে যায়। এতে হাড় ঝাড়রা বা ফুলকো হয়ে যায়। এতে হাড় অতি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মারাত্মক হাড় ক্ষয়ে […]

ঘাড় ব্যথার কারণ ও করণীয়

বেশিরভাগ মানুষই জীবনে কোনো না কোনো সময় ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাড় ব্যথায় আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন। ঘাড় ব্যথা কেন হয়? অনেক কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। বয়স অনুসারে ঘাড় ব্যথা ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে টরটিকলিস বা হঠাৎ ঘাড়ের মাংসপেশি টেনে ধরা, তরুণদের ক্ষেত্রে সারভাইক্যাল রিবস […]

হাঁটু ব্যথার সহজ ব্যায়াম

হাঁটু আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় সন্ধিগুলোর অন্যতম। এই সন্ধি কেবল আমাদের পুরো শরীরের ওজনের ভারই বহন করে না, হাঁটতে, দৌড়াতে, বসতে–উঠতে সাহায্য করে। নানা কারণে আমাদের হঠাৎ হাঁটু ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে আঘাতজনিত সমস্যাই অন্যতম। খেলাধুলা বা দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে প্রায়ই হাঁটুর লিগামেন্ট বা পেশি ছিঁড়ে যায়, হাঁটুর সন্ধি সরে যায় বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। হাঁটু ব্যথার আরেকটি বড় কারণ হলো আর্থ্রাইটিস বা হাঁটুর প্রদাহ, সন্ধির ক্ষয় ইত্যাদি। নানা রকম বাতরোগে হাঁটু ফুলে যায়, ব্যথা করে। হাঁটুর জয়েন্টে সংক্রমণও হতে পারে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সন্ধি ক্ষয় বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসই হাঁটু ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। হাঁটু ব্যথার কারণ বের করে তার চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনাচরণ পরিবর্তন ও কিছু ব্যায়াম খুবই উপকারী। হাঁটুর ব্যায়াম ম্যাটে সোজা হয়ে পা সোজা করে বসুন। এবার হাঁটুর নিচে একটা তোয়ালে রোল করে রাখুন। হাঁটু দিয়ে তাতে চাপ দিন। ১০ সেকেন্ড ধরে শরীরে অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক রাখুন, শ্বাস–প্রশ্বাস নিন। এবার হাঁটু শিথিল করুন ও অন্য হাঁটু দিয়ে চাপ দিন। এভাবে ১০ বার করুন। একটা চেয়ারে সোজা হয়ে পা ঝুলিয়ে বসুন। পা যেন মেঝে থেকে ওপরে থাকে। এবার একটা পা ধীরে ধীরে ওপরে তুলতে তুলতে সোজা মেঝের সমান্তরাল করুন। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে নামিয়ে নিন। এবার অপর পা দিয়ে করুন। ১০ বার করুন, দিনে দুইবার। উম্মে শায়লা রুমকী ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৯; প্রথম আলো

স্ট্রোক প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

২৯ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস‘। স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা গড়তে প্রতিবছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। স্ট্রোক ব্রেন বা মস্তিষ্কের রোগ, হৃদ্রোগ নয়। মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালির দুর্ঘটনাই হলো স্ট্রোক। এ দুর্ঘটনায় রক্তনালি বন্ধও হতে পারে, আবার ফেটে গিয়ে রক্তপাতও ঘটতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বিকল হয়ে যায়। ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বে প্রতি ২ সেকেন্ডে ১ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ জন মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আট কোটিরও বেশি, এর মধ্যে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় অথবা পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন পাঁচ কোটি। বাংলাদেশে স্ট্রোক রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।আর সরকারি হাসপাতালে যত রোগী মৃত্যুবরণ করেন তার ২০ শতাংশই স্ট্রোক রোগী। ফাস্ট ফুডে আসক্তদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শিশু ও তরুণদের অনেকে খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্ট্রোক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। দেশে মানব মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক। বর্তমানে স্ট্রোকজনিত মৃত্যু শুধু জাতীয় সমস্যা নয়; বিশ্বজনীন সমস্যা। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। স্ট্রোক আক্রান্ত একজন ব্যক্তি নিজের, পরিবারের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। পরিবারের কর্মক্ষম তথা উপার্জনের ব্যক্তিটি পঙ্গুত্ব বরণ করলে পুরো পরিবারের ওপর নেমে আসে দুঃসহ যন্ত্রণা, কষ্ট। উপার্জন বন্ধ হওয়ায় সংসারে নেমে আসে চরম দারিদ্র্য। অথচ ৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায় শুধু একটু সচেতন হলে। এবারের বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের স্লোগান ‘ওয়ান ইন ফোর অব আস উইল হ্যাভ স্ট্রোক ডোন্ট বি দা ওয়ান’ (প্রতি ৪ জনে ১ জন স্ট্রোক আক্রান্ত হবেন, সেই ১ জন যেন হতে না হয়)। কেন স্ট্রোক হয়সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক কংগ্রেসে বলা হয়েছে, দশটা রিস্ক ফ্যাক্টর কারণ যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ৯০ শতাংশ স্ট্রোক এড়ানো সম্ভব। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ। শুধু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করলে (১২০ / ৮০) স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব ৫০ শতাংশ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেক রোগী আছেন যারা উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক দেখে ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। এতে করে যে কোনো সময় স্ট্রোক আক্রান্ত হতে পারেন। গবেষণায় দেখা যায়, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় চার গুন বেশি। ডায়াবেটিস রোগীদের খালি পেটে ব্লাড সুগার ১০০–১২০ মিলিগ্রামের নিচে এবং খাবার দুই ঘণ্টা পর ১৪০–১৬০ মিলিগ্রাম রাখা ভালো। ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় তিন গুন বেশি, আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে বেশি। রক্তে চর্বির মাত্রাল্যাবরেটরি চার ধরনের চর্বি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এর মধ্যে সর্বমোট কোলেস্টরেল টোটাল কোলেস্টরেল), এলডিএল, টিজি, কম থাকা ভালো, এইচডিএল বেশি থাকা ভালো। যাদের রক্তে টোটাল কোলেস্টরেল এবং টিজি ২০০ এর বেশি, এলডিএল ১০০ এর বেশি, এইচডিএল ৫০ এর কম থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি হয় তা রক্তনালির গায়ে জমে সরু করে দেয় ফলে স্ট্রোক ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দৈনন্দিন খাদ্য তলিকায় চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ করে তাজা ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে হোয়াইট পয়জন বা বিষ খ্যাত সাদা চিনি, লবণ, ভাত, ময়দা এবং পাস্তুরিত গরুর দুধ পানের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। হৃদ্রোগের অথবা বাতজ্বরের রোগীরা অল্প বয়সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোক রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে অ্যাসপিরিন, ক্লোপিডগ্রেল, অ্যাটোভাসটেটিন জাতীয় ওষুধ নিয়মিত সেবন করতে হবে। কীভাবে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়স্ট্রোক ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে ধূমপান, জর্দা, গুল, মাদক পরিহার করতে হবে। ধূমপান রক্তনালি সংকুচিত করে স্ট্রোক ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরও পাঁচ বছর পর্যন্ত ঝুঁকি থেকে যায়। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস জীবনকে পরিবর্তন করে। স্ট্রোক প্রতিরোধের কার্যকরী পন্থা হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়ম করে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এবং সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটতে হবে। হাঁটার গতি হবে ঘণ্টায় চার মাইল, মিনিটে প্রায় ১০০ কদম। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, দিনের অধিকাংশ সময় বসে বসে কাজ করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যায়াম বা হাঁটা অপরিহার্য। স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনশরীরের উচ্চতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওজনকে বিএমআই বলা হয়, যার স্বাভাবিক মাত্রা ১৮–২৪। বিএমআই ৩০ এর বেশি হলে স্ট্রোক ঝুঁকি বেড়ে যায়। অলস জীবনযাপন করা, স্থূলতা বা অতিরিক্ত মোটা হওয়া, অতিরিক্ত মাত্রায় কোমল পানীয় গ্রহণ, মাদকসেবনও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। মানসিক চাপ উদ্বেগ ও বিষণ্নতা রক্তে অ্যাড্রেনালিন এবং কার্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। এতে স্ট্রোক করতে পারে।স্ট্রোক ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সচেতন হলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, ডিমেনসিয়া, দৃষ্টিহীনতা, ক্যানসারের মতো জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। পূর্বাভাস দেবে স্ট্রোক রিস্কোমিটারসম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের সহায়তায় অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা বাজারে এনেছেন স্ট্রোক রিস্কোমিটার। পৃথিবীর ১৬০টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষ বাংলাসহ ১৫টি ভাষায় স্ট্রোকরিস্কোমিটার অ্যাপসের মাধ্যমে স্মার্ট ফোনে বিস্তারিত জানতে পারবেন। স্ট্রোক রিস্কোমিটার ব্যবহার করে প্রশ্নমালার যথাযথ উত্তর দিলে পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে স্ট্রোক ঝুঁকি কতটুকু এবং প্রতিরোধে করণীয় কী তা জানা যাবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রোক অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড নিউরোসাইন্সের অধ্যাপক ভেলারি ফেইজিনের মন্তব্য, স্ট্রোক রিস্কোমিটার নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহার করা সহজ যা স্ট্রোকের আগাম ঝুঁকি এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের সঠিক নির্দেশনা দেয়। স্ট্রোকের লক্ষণ বুঝতে না পারা অথবা সময় মতো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ার কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। স্ট্রোকের লক্ষণ কীভাবে বুঝবেনহঠাৎ শরীরের একদিকে দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া। কথা অস্পষ্ট, জড়িয়ে যাওয়া বা একেবারে বুঝতে ও বলতে না পারা। চোখে ঝাপসা দেখা। দুটো দেখা বা একেবারেই না দেখা হঠাৎ মাথা ঝিমঝিম, ঘোরা, হতবিহ্বল হয়ে পড়া বা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। মারাত্মক লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা, বমি, খিঁচুনি বা জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। স্ট্রোক একটা প্রতিরোধযোগ্য রোগ। একবার আক্রান্ত হলে চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি। তাই প্রতিরোধই উত্তম। ডা. আহমেদ আশাফুদ্দৌলা, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, নিউরোলজি বিভাগশহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৫৩; প্রথম আলো

মাথার যন্ত্রণা যখন অসহনীয়

কিছু কারণে মাথাব্যথায় নারীরাই সাধারণত বেশি আক্রান্ত হন। এসবের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন অন্যতম। মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা হলে সাধারণত অনুভূতিটা এমন হয় যেন মাথায় বা মাথার তালুতে কিছু একটা চেপে ধরে আছে। সারা দিনের কাজের শেষে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকে। তবে ব্যস্ততার সময় মনে হয় ব্যথাটা যেন একটু কম।এমন ব্যথা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে; তবে মাঝখান কোনো দিনই পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হয় না। এমন ব্যথা উপশমের জন্য মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষেত্রে মাথাব্যথার চিন্তা থেকেই মাথাব্যথা বাড়তে থাকে। ব্যথানাশক ওষুধে এ যন্ত্রণার তেমন উপশম হয় না, বরং ক্রমাগত ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। মাইগ্রেনের ব্যথা হয় মাথার যেকোনো একপাশে। সাধারণত মধ্যবয়সে পৌঁছানোর আগেই এ অসুখ শুরু হয়। রোগী প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট পান। মাথার একপাশে দপদপ করে। বমিভাব বা বমিও হতে পারে। রোগী এ সময় আলো ও আওয়াজ সহ্য করতে পারেন না। তাই এ সময় তিনি অন্ধকার ঘরে একা শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন। একবার শুরু হলে ব্যথা একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। কোনো কোনো রোগীর মাইগ্রেন ব্যথা শুরু হওয়ার আগে কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: চোখের সামনে রুপালি আঁকাবাঁকা রেখা দেখা, হঠাৎ খানিকক্ষণের জন্য দেখতে না পাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা কিংবা শরীরের কোনো অংশ ঝিনঝিন করা বা অবশ লাগা। যেসব মাইগ্রেন রোগীর এমন লক্ষণ থাকে, তাঁদের ইস্ট্রোজেন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি না খাওয়াই ভালো। মাইগ্রেনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারও কারও ক্ষেত্রে চকলেট, পনির বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, তাঁরা নির্দিষ্ট ওই উপাদানটি এড়িয়ে চলুন। আরেক ধরনের মাথাব্যথা নারীদের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যথার পাশাপাশি চোখের কিছু সমস্যা হয়। যেমন: একটি জিনিসকে দুটি দেখা বা শরীরের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক চোখে দেখতে না পাওয়া। সাধারণত স্থূল বা বেশি ওজনের নারীদের এই সমস্যা হয়। ওজন কমাতে পারলে ব্যথা উপশম হয়ে থাকে। যেকোনো মাথাব্যথার সঙ্গে জ্বর, শরীরের কোনো একপাশের দুর্বলতা বা ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ; শোয়া অবস্থায় ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি বা ঘুম ভেঙে মাথাব্যথা কিংবা যেকোনো ব্যক্তির আচমকা প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডা. রাফিয়া আলম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ০৪ এপ্রিল ২০১৭, প্রথম আলো

দাঁতের নানা সমস্যা

দাঁতে ব্যথা প্রথমে যা করতে পারেন :পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করুন। এরপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চিকিৎসা: খয়ের, গোলমরিচ একত্রে সমপরিমাণে চূর্ণ করে ওই চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে আরাম হয়। সমপরিমাণ বকুল পাতা ও পেয়ারা পাতা ১/২ লিটার জল দিয়ে সিদ্ধ করে ওই জলটা ঈষদুষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার হয়। দাঁত নড়া প্রথমে যা করতে পারেন :নড়া দাঁত জোর করে টেনে তোলার চেষ্টা করবেন না। রক্তপাত হতে পারে। নুন জলে কুলকুচি করুন। নড়া দাঁত ২–১ দিন অপেক্ষা করলে অনেক সময় নিজ থেকেই পড়ে যায়। চিকিত্সা :বাবলা ছাল ও পেয়ারা গাছের ছাল একত্রে থেঁতো করে দাঁতের গোড়ায় লাগালে কিংবা সুপারি ভস্ম ও গোলমরিচ চূর্ণ একত্রে মিশিয়ে লাগালে উপকার হয়। খয়ের চূর্ণ ও নিসিন্দাপাতা চূর্ণ সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগান। আঘাত লেগে দাঁত ভেঙে গেলে প্রথমে যা করতে পারেন :ভাঙা দাঁত ধরে টানাটনি করবেন না। ঘরোয়া চিকিত্সায় তাত্ক্ষণিক ফল লাভ হলেও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে বা নুন জলে গার্গল করবেন। চিকিত্সা :মতিহারি, তামাকপাতা, খদির চূর্ণ সমপরিমাণে একত্রে মিশিয়ে লাগালে উপকার হয়। খদির, কর্পূর, লবঙ্গ চূর্ণ, ফিটকিরি ও সোহাগা সমপরিমাণে মিশিয়ে অথবা লবঙ্গ চূর্ণ, নিশাদল, ফিটকিরি সমপরিমাণে মিশিয়ে লাগালেও উপকার হবে। দাঁতে পোকা প্রথমে যা করতে পারেন :দাঁতে কিন্তু সত্যি সত্যি পোকা হয় না। দাঁতের ক্ষয় রোগকে বলে ডেন্টাল কেরিস। চলতি কথায় দাঁতে পোকা। এই রোগে হঠাত্ করে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথার বড়ি খেয়ে ব্যথা কমাতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। নুন জল বা অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে গার্গল করতে হবে। চিকিত্সা :কণ্টিকারী গাছের শুকনো ফল ও কর্পূর সমপরিমাণে ব্যবহার করলে ভালো হয়। তিহারি তামাকপাতা চূর্ণ ও কর্পূর সমপরিমাণে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার হয়। বিট লবণ, মরিচা চূর্ণ, সোহাগা, ফিটকিরি একত্রে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও উপকার পাবেন। দাঁত দিয়ে রক্তপাত প্রথমে যা করতে পারেন :পেয়ারা পাতা, বাবলাপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। ফিটকিরি চূর্ণ, লবঙ্গ চূর্ণ ও কর্পূর সমপরিমাণে ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে কুলকুচি করবেন। আতাফলের বীজ ও তেঁতুল বীজ সমপরিমাণে চূর্ণ করে দাঁতের গোড়ায় লাগালে (যেখানে রক্তপাত হচ্ছে) উপকার হয়। আক্কেল দাঁত চিকিত্সা :যব ক্ষার ও বিট লবণ সমপরিমাণে মিশিয়ে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে ব্যবহার করুন। যব ক্ষার ও তুঁতের ভস্ম সমপরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার হয়। পলাশ ক্ষার লবঙ্গ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালেও আরাম হবে। ইত্তেফাক/এএম ০৬:৩৬, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯; ইত্তেফাক

1 2 3 4 5